প্রত্যয় নিউজডেস্ক: টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও অভিনয় করেন। গত ঈদে তার অভিনীত একাধিক নাটক টিভিতে প্রচার হয়। ঈদের পর আবারও কাজ শুরু করেছেন। অভিনয় ও প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি-
প্রশ্ন: ঈদের পর কাজে ফিরেছেন। কেমন লাগছে কাজ করতে?
জাহিদ হাসান: আমি সবসময় কাজে থাকতেই বেশি পছন্দ করি। কারণ অবসরে থাকলে একটা অস্বস্তি কাজ করে। তাই বেশি বেশি কাজ করার চেষ্টা করি। চিত্রপরিচালক শাহীন সুমনের পরিচালনায় ‘মাফিয়া’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছি। ১৮ আগস্ট থেকে এর শুটিং হয়েছে। আমি একটি কেন্দ্রীয় চরিত্রেই অভিনয় করছি। গল্প ভালো। আশা করছি দর্শক এখানেও আমাকে নতুনভাবে দেখতে পাবেন। আরও কিছু নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব আছে। সেগুলোতে কাজ করার বিষয় নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে বসব।
প্রশ্ন: ঈদের আগে শুটিংয়ের সময় অসুস্থ হয়েছিলেন। এখন শারীরিক অবস্থা কেমন?
জাহিদ হাসান: আল্লাহর রহমতে এখন পুরোপুরি সুস্থ আছি। আসলে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শুটিং করতে গিয়েই অসুস্থ হয়েছিলাম। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তখন বাসায় বিশ্রামে ছিলাম। সেই অসুস্থতার জন্য কয়েকটি নাটকের শুটিং বাতিল করতে হয়েছিল। তবে সেসব নাটকের পরিচালক অন্যভাবে নাটকগুলোর শুটিং করেছেন।
প্রশ্ন: ঈদের নাটকের সাড়া কেমন পেয়েছেন?
জাহিদ হাসান: আমার নাটক যারা সারা বছর দেখেন, তারা তো দেখছেনই। সেই সঙ্গে ঈদের সময় কিছু মৌসুমি দর্শকও পাওয়া যায়, তারাও আমার নাটক দেখছেন। ‘চড়া তালুকদার’, ‘বনে ভোজন’ নাটক দুটির জন্যই বেশি সাড়া পেয়েছি। তবে অন্য নাটকগুলোও কিন্তু দর্শক দেখছেন। সব মিলিয়ে আমার অভিনীত নতুন আটটি নাটক প্রচার হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনার পরিচালনায় ‘হুলস্থুল টিভি’ নামের একটি ধারাবাহিক নির্মিত হচ্ছে। সেটি কবে প্রচারে আসবে?
জাহিদ হাসান:এ নাটকটি এরই মধ্যে আরটিভিতে জমা দেয়া হয়েছে। করোনার কারণে এটি প্রচারে আসতে বিলম্ব হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের লোকেশনে নাটকের শুটিং করেছি। এখন পর্যন্ত ৪০ পর্ব প্রস্তুত আছে। তবে পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে তাহলে আমার প্রযোজনা সংস্থা থেকে আরেকটি নতুন ধারাবাহিক নাটক বানাবো। এটিরও প্রস্তুতি চলছে এখন।
প্রশ্ন: যদি করোনা পরিস্থিতি এখনকার থেকে আরও জটিল হয় তখনও কি কাজ করবেন?
জাহিদ হাসান: অবশ্যই কাজ বন্ধ রাখব। কারণ জীবন কাজের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বেঁচে থাকলে অনেক কাজই করা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত যেসব কাজ করেছি, প্রত্যেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করেছেন। তারপরও ঝুঁকি থেকে যায়। তবে কাজ করতে গিয়ে কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিতে হবে।